গুলিতে নিহত ওবায়দুল চট্টগ্রাম আ.লীগ নেতার ভাগ্নে

রাজধানীর কলাবাগানে মধ্যরাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ওবায়দুল হকের পরিচয় মিলেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2015, 02:51 PM
Updated : 27 June 2015, 03:35 PM

তিনি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাগ্নে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ওবায়দুল হক তার ছোট বোনের ছেলে। নগরীর ষোলশহরে তাদের বাসা। সে সানোয়ারা গ্রুপের আইসক্রিম বিভাগের (সাবজিরো) ঢাকা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মকরত ছিল।

ভাগ্নেকে গুলি করে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “শুনেছি তাকে ছিনতাইকারীরা গুলি করেছে। এর বাইরে কিছু জানি না।”

কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল জানান, শুক্রবার ভোররাতে হাতিরপুল এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত ওবায়দুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। 

সানোয়ারা গ্রুপের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অরূপ রতন রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বসুন্ধরা শপিং মার্কেট সাবজিরো আইসক্রিম কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ছিলেন।

৫৭ নর্থ সেন্টাল রোডে কোম্পানির একটি বাসায় সস্ত্রীক থাকতেন পাঁচ মাস আগে বিবাহিত ওবায়দুল। একই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন অরূপ।

অরূপ বলেন, “পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে ঈদ উপলক্ষে দোকান বন্ধ করতে দেরির কথা জানিয়েছিলেন ওবায়দুল। হাতিরপুলের একটি ফার্মেসির দোকান থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার।

“রাত ১টার দিকে ওবায়দুলের পরিবারের সদস্যরা ফোনে জানায়, ‘ওকে পাওয়া যাচ্ছে না।”

ওবায়দুলকে উদ্ধারকারী রিকশাচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “একটি মোটরসাইকেল হাতিরপুলের একটি ফার্মেসির সামনে থামে। আরোহী তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার পর তার মাথায় গুলি করে চলে যায়।”

এই ঘটনায় নিহতের আত্মীয় ইয়াসিন মো. আদনান রাতেই বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে পরে পক্ষভুক্ত হন নিহতের ভাই শেখ আহমেদ।

ইয়াসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওবায়দুলের আপন খালু আমার মামা। ঘটনার কথা শুনে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যাই। হাসপাতালে ওর মৃত্যু হলে পুলিশে আমাকে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করতে বলে।”

ওসি ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেই রিকশাচালক বৃষ্টির মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে থানায় নিয়ে এসেছিল। সে ঘটনাটি কাছ থেকে দেখেছে বলে ধারণা হচ্ছে। এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সে পুলিশকে সাহায্য করছে।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতের লাশ দুপুরেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।