বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যশোরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে।
বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্র অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে, বলেছেন অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন চলছে মৌসুমের শেষ তাপপ্রবাহ। আরও অন্তত তিন দিন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) দেশের টেকনাফ উপকূলে পৌঁছতে পারে।”
আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে বাংলাদেশের সর্বত্র বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ, এই সময় তা অনেকটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, “জ্যেষ্ঠের তৃতীয় সপ্তাহে একটু বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। বাতাসে ময়েশ্চার বেশি তাই এমন অবস্থা। কয়েকদিন পরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে আবহাওয়া।”
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমী বায়ু টেকনাফে উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে বলে অধিদপ্তর জানায়।
চলতি মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম জানান, জুন মাসের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২ টি মৌসুমী নিমড়বচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
তবে মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে।