মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, “বাংলাদেশে আগত ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মধ্যে ৫৪টির উৎস ভারত। বাংলাদেশে প্রবাহিত পানির ৯০ শতাংশ ভারত থেকে আসে। এসব নদীর উজানে ভারতের দেওয়া বাঁধ ও ব্যারেজ নদীগুলোর প্রধান সমস্যা।”
তিনি বলেন, “ভারত ট্রানজিটে যে মাশুল বাংলাদেশকে দেবে তা যথেষ্ট নয়। ভারত তার ভৌগলিক অবস্থানগত সমস্যায় পড়েই সীমান্ত নিরাপত্তা ও ট্রানজিট প্রার্থী হয়েছে। বাংলাদেশও তার নিম্ন অববাহিকায় অবস্থানগত কারণে নদীর পানির সংকটে পতিত হয়েছে।
“এক কথায় ভারত ‘নদীর বদলে ট্রানজিট’ চাইলে বাংলাদেশের মানুষ ট্রানজিট দেওয়াকে স্বাগত জানাবে।”
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) ও বাপা যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত ১৪টি পরিবেশগত সমস্যা সমাধান করা গেলে রাজনৈতিক দলগুলো এর সুফল পাবে’ বলেও মন্তব্য করেন আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, “ব্রহ্মপুত্র ও এর উপ, শাখা নদীর উপর ১৪৮টি বাঁধ দিয়ে রেখেছে ভারত। এছাড়া এ নদীর ডাউকি ফল্ট এলাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
“গঙ্গার উপর ফারাক্কা ব্যারেজের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৫টি নদী মৃতপ্রায়। ফারাক্কা চুক্তির নয় বছর পরও কোনো পানি পায়নি বাংলাদেশ।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।