কর্ণফুলি গ্যাস ফিল্ডের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

কর্ণফুলি গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শেষে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরকে বাদ দিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2015, 04:08 PM
Updated : 2 June 2015, 04:08 PM

কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদনের পর অচিরেই এই মামলা করবে দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত সাংবিধানিক সংস্থাটি।

পেট্রোবাংলার নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর হোসেন মনসুরকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছিল বলে দুদকের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। 

সোমবার মামলা অনুমোদনের পর দুদক চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাকে (হোসেন মনসুর) অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক প্রতিবেদনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরের নাম থাকলেও পরে তা বাদ দেওয়া হয়।”

বৈঠকে আলোচনার পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

তারা হলেন- কর্ণফুলি গ্যাসফিল্ড কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানোয়ার হোসেন ও জামিল আহমেদ আলীম, সাবেক সচিব ও বর্তমান উপ মহাব্যবস্থাপক আমির হামজা, সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) চৌধুরী আহসান হাবিব।

২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে পেট্রোবাংলার অন্তর্ভুক্ত ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম কর্ণফুলি গ্যাস ফিল্ড কোম্পানিতে জনবল নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

শুরুতে দুদকের উপ-পরিচালক আহসান আলী অনুসন্ধান চালালেও পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা ও সহকারী পরিচালক আল আমিন।

প্রাথমিক অভিযোগ ছিল, কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ২০১২-১৩ সালে কর্ণফুলী গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছিল।

দুদক কর্মকর্তারা বলেন, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে কোম্পানির ১৩০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মোট ১৪৩ জন। এক্ষেত্রে জেলা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী ও নারী কোটা কোনোটিই অনুসরণ করা হয়নি।