ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্টদের সনদ দেওয়ার সুপারিশ

ফার্মাসি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের নিবন্ধিত করে সনদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

নিজস্ব প্রতিদবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2015, 03:55 PM
Updated : 26 May 2015, 03:55 PM

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিলকে এ সুপারিশ করা হয়।

আইনি জটিলতার কারণে গত ১০ বছর ধরে ফার্মাসি কাউন্সিল কাউকে নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে না।

বৈঠকে কমিটি বলেছে, কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আইনি জটিলতা তৈরি করে নিবন্ধনের কাজ বন্ধ রেখেছে। এদের কারণে বিদেশে চাহিদা থাকলেও ১০ বছর ধরে ফার্মাসিস্টরা বিদেশে যেতে পারছে না।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, “আদালতের মামলা থাকলেও উচ্চ ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্টদের সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বারণ নেই। সে জন্য কমিটি ফার্মাসিস্টদের নিবন্ধন করে সনদ দিতে বলেছে। দুই-একজন ব্যক্তির জন্য তো সবার ভাগ্য ঝুলে থাকতে পারে না।”

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ফার্মাসি অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী ফার্মাসি বিষয়ে সন্মান (বি. ফার্ম) স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী (এম. ফার্ম) সনদ পাওয়ার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না।

তবে ২০০৪ সালে ফার্মাসি কাউন্সিল নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সন্মান স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষার নেওয়ার নিয়ম চালু করে।

পরে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ২০১১ সালে ফার্মাসি কাউন্সিল আগের নির্বাহী আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

শেখ ফজলুল করিম বলেন, “আইনে বলা আছে, সনদ পাওয়ার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। কাউন্সিল নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করে আইন লঙ্ঘন করেছে। সনদ দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার জন্যই বহু নির্বাচনী প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল।”

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মামলাটি নিষ্পত্তি হলেও অপর এক ব্যক্তি আরও একটি মামলা করেছেন।

তবে শেখ সেলিম বলেন, “এই মামলায় স্নাতকোত্তর ও সন্মান ডিগ্রিধারীদের সনদ দেওয়ার ব্যাপারে আদালত থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। সে জন্য কমিটি ফার্মাসিস্টদের সনদ দেওয়ার জন্য কাউন্সিলকে সুপারিশ করেছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ থেকে অনেক ফার্মাসিস্ট বিদেশে চাকরির সুযোগ পাবেন।”

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়াও বৈঠকে ভেজাল ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শনাক্ত করে বন্ধ করা এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুপারিশ করা হয়।

শেখ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ইউনুস আলী সরকার ও সেলিনা বেগম অংশ নেন।