তিনি বলেছেন, তার আবেদন সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ৩০ জুন তাকে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার চিঠি দেয়। কিন্তু তার আবেদনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন অধ্যাপক সালেহ। অধ্যাপক আনোয়ারের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনেও ছিলেন তিনি।
তবে অধ্যাপক সালেহর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল এজন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এখনও সায় না পাওয়াকে দায়ী করেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় ছয় মাস আগেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।”
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই অধ্যাপক সালেহর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।
মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অধ্যাপক সালেহর সঙ্কলিত ‘প্রামাণ্য দলিল : মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক বইটি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পর তাকে ধন্যবাদপত্রও দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
চট্টগ্রাম নগরীর জাকির হোসেন রোডে বধ্যভূমি সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক সালেহ। বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য রিট আবেদনকারীদেরও একজনও তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের করা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ১০৮২ নম্বরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের।
তিনি ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিনও ছিলেন।
অধ্যাপক সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করি।”
এরপর গত ১৮ মার্চ পুনরায় চিঠি দেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১২ এপ্রিল পাঠানো এক চিঠিতে আগামী ৩০ জুন তাকে অবসরের প্রস্তুতি নেওয়ার চিঠি দেয়।