ঢাকার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায় দুই হাজার ভোট কেন্দ্রের তিন-চতুর্থাংশই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে পুলিশ, এজন্য এই কেন্দ্রগুলোতে নজর রাখা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 01:51 PM
Updated : 25 April 2015, 01:51 PM

ভোটের জন্য শনিবার মধ্যরাত থেকে রাজধানীতে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ভোটের পর ২৯ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এক সপ্তাহ পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ থাকবে বলে ঢাকা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

ভোটের তিন দিন আগে শনিবার পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রস্তুতি তুলে ধরেন।

২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। দুই সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ৯৮২টি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৯৩টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪২৯টি কেন্দ্রকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

তবে কোন কেন্দ্র ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তা তিনি বলেননি। এগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার কথা বললেও ঝুঁকিপূর্ণ’ বলতে চাননি তিনি।

“এসব ভোট কেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।”

ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে তিন দিনে র‌্যাব, বিজিবি এবং আনসার বাহিনী সমন্বিতভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে আছাদুজ্জামান মিয়া জানান।

শাহবাগ পুলিশের স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ছাড়াও ভোটের জন্য গুলশান, তেজগাঁও থানা, মিরপুর ও আব্দুল গণি রোডে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসিয়ে নিরাপত্তার তদারকি করবে পুলিশ।

ভোটের দিন মোট ২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এর মধ্যে নয়টি উত্তর এবং ১৪টি দক্ষিণে কাজ করবে। এসব আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেবেন।

যে সব স্থান থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে সেসব এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানান তিনি।

আছাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৫ এপ্রিল রাতের মধ্যে বহিরাগতদের এলাকা ছেড়ে চলে বলা হচ্ছে। তা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৫ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ভোটের পরের দিন ২৯ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

২৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সকল ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে পুলিশ কমিশনার জানান।

তবে নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ ভোট সংশ্লিষ্ট কেউ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে না।

কোনো পর্যবেক্ষকই ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে ঢুকতে পারবেন না বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে। এর আগে প্রচারণা বন্ধ হবে রোববার মধ্যরাতে।

ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচনী এলাকায় বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

২৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীররা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রেসহ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।”