বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীর পক্ষে প্রচারে নেমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার আমাদের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে খালেদা জিয়া এবং আমাদের ক্যাম্পেইনে হামলা করছে।
“নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নিয়ে খেলা খেলছে। তারা একবার বলছে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে দেবে। আবার বলছে সেনাবাহিনী ব্যারাকে থাকবে।”
তবে যা-ই হোক না কেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে মির্জা আব্বাস ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের এই আচরণে আমরা ভীত নই।
“কোনোভাবেই নির্বাচন বয়কট করব না।”
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। ভোট চাইতে নেমেছেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াও।
তবে বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে সেসবে কান না দিতে কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“আপনারা গুজবে কান দেবেন না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব।”
হামলা-মামলায় নেতাকর্মীরা পাশে থাকতে না পারলেও সাধারণ জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে দাবি করে আফরোজা বলেন, “হামলা, মামলা, নির্যাতনের কারণে নেতাকর্মীরা থাকতে পারছেন না। কিন্তু দেখেন সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।”
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সেনা মোতায়েন নিয়ে আগের দিনের চিঠি পাল্টে বুধবার নতুন একটি চিঠি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
প্রথমে নির্বাচনে ‘স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স’ হিসেবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ২৮ এপ্রিল ভোটের জন্য তিন ব্যাটালিয়ন সৈন্য চাওয়া হলেও পরে আরেক চিঠিতে বলা হয়েছে, সেনা সদস্যরা সেনানিবাসের ভেতরেই থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তারা বাইরে আসবেন।
সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এ অবস্থানের সমালোচনা করেন কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে মেয়র প্রার্থী হওয়া মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা।
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমরা বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসিটিভি চেয়েছি।”
এদিকে গত তিনদিনের মতো বুধবারও দলসমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময় হামলার মুখে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিকালে চলন্ত অবস্থায় বাংলামোটরে হামলার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। হামলায় তার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়, ভাংচুর করা হয় বহরে থাকা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের গাড়ি। সিএসএফ সদস্যসহ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায় হামলাকারীরা।
আগের দিন ঢাকা উত্তরে বিএনপিসমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে কারওয়ানবাজারে পথসভা করার সময় খালেদার গাড়িবহরে হামলা হয়। তিনি আঘাত না পেলেও তার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়, আহত হন বেশ কয়েকজন।
সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন আফরোজা আব্বাস। পরে ভোট চাইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান তিনি।