নওগাঁয় ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 02:09 PM
Updated : 20 April 2015, 02:10 PM

নিয়ামতপুর, মান্দা, রানীনগর ও আত্রাই উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় রোববার বিকাল থেকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। মধ্যরাতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়।

এ সময় ছোট-বড় শিলার আঘাতে অসংখ্য বাড়ির টিনের চালা ছিদ্র হয়ে যায় এবং ঝড়ে অনেক বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকাল থেকে ঝড় শুরু হয়ে রাত ১০টার দিকে মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এরপর মধ্যরাতের দিকে অনবরত শিলাবৃষ্টি হতে শুরু করে।

প্রায় ১৫ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিয়ামতপুর উপজেলায়।

এ উপজেলার শ্রীমন্তপুর, ভাবিচা, নিয়ামতপুর সদর ও চন্দননগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ির টিনের চালা ছিদ্র হয়ে যায়। এ সময় উঠতি বোরো ধান, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়।

ভাবিচা গ্রামের নজরুল ইসমলাম বলেন, শিলাবৃষ্টিতে এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠের বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে।

এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে নিজের ঘরের টিনের চালায় ‘খৈ ঝাড়া ঝাঁঝর’র মতো ফুটো হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন একই এলাকার রেজাউল ইসলাম।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাওছার জাহান মিশু বলেন, দীর্ঘক্ষণ শিলাবৃষ্টির কারণে শুধু ফসলের ক্ষতিই হয়েছে আনুমানিক ২০ কোটি টাকার।

এদিকে একইভাবে মান্দা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মাঠের পাকা বোরো ধান ঝরে পড়ে এবং উপজেলার অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে যায়। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৮০ হেক্টর ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়।

ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা।