বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ ৫১ জন সফরসঙ্গী থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
এশিয়া ও আফ্রিকার ৩৪টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা ১৯ থেকে ২৪ এপ্রিল এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। জাতিসংঘ, আসিয়ান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আরব লিগ ও সাউথ সেন্টারসহ ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন অতিথি যোগ দিচ্ছেন এ সম্মেলনে।
সফরসূচি অনুযায়ী, বুধবার জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।তিনি তার বক্তব্যে ‘পারস্পারিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন।
ওইদিন সকালে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। পরে সম্মেলনের প্ল্যানারি সেশনে তিনি বক্তব্য দেবেন।
সম্মেলনের ফাঁকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। রাতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই তার ঢাকা পৌছানোর কথা রয়েছে।
১৯৫৫ সালে এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনের প্রথম বৈঠক বসেছিল এই ইন্দোনেশিয়াতেই, যা বান্দুং সম্মেলন নামে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট সুকর্নর উদ্যোগে সেই সম্মেলনের পর দুই বৃহৎ বিশ্ব শক্তির বাইরে সৃষ্টি হয়েছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন।
৬০ বছর পূর্তিতে ইন্দোনেশিয়াই এবার সম্মেলনের আয়োজক।