এ দাবিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রথমে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
তারপর ‘ ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন করে, যাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘চলুন সাহসী হই, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করি’।
একই দাবিতে বিকালে ওই জায়গায় সংহতি সমাবেশ করছে ছাত্র ইউনিয়ন; নিপীড়কদের ঠেকাতে গিয়ে হাত ভেঙেছে যে সংগঠনের এক নেতার।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বৈশাখী উৎসবে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেন।
কর্মসূচি চলাকালেই যৌন নিপীড়কদের বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন এবং তাদের রুখে দেওয়ার আহ্বান সম্বলিত চিত্র এঁকে সেখানে উপস্থাপন করেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপচিত্র বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এস এম রাকিবুর রহমান বলেন, “বর্ষবরণের দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে ঘটনা ঘটেছে তা জাতির জন্য নিন্দনীয়। এ ঘটনা আমাদের সবার মাথা নত করে দিয়েছে। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শেষে বেলা ১২টার দিকে একই জায়গার মানববন্ধন করে ‘ইউনাইটেড ন্যাশ ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’।
যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেন, “সভ্য সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার। তাই নারীদের চলাফেরার যে অধিকার সেই অধিকার তাদের দিতে হবে।”
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে সংঘবদ্ধ একদল যুবক নারীদের যৌন হয়রানি করে। নারীদের ওপর হামলা ঠেকাতে গিয়ে হাত ভেঙে যায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর।
ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গত তিন দিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে নারী অধিকার ও ছাত্র সংগঠনগুলো।