মনিরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ও ভাড়া দেওয়া টিনের ওই দোতলা বাড়ি ঝিলের কাদায় দেবে গিয়ে বুধবার ১২ জনের মৃত্যু হয়।
মামলার বাদী রামপুরা থানার এস আই আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে মামলা করার পর মনিরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।”
হাজীপাড়া নতুন রাস্তার বউ বাজার ও চৌধুরীপাড়ায় মাটির মসজিদ এলাকার মাঝে বেগের বাড়ি ঝিলের ওপর বাঁশের খুঁটির ওপর মাচা করে টিনের ওই দোতলা বাড়ি তুলে ২২টি ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যেতে হতো বিশ গজ দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে।
যে জমির ওপর ওই ‘টং ঘর’ নির্মাণ করা হয়েছে তা সরকারি না বেসরকারি- সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বাদী আব্দুর রশিদ। তবে মনিরই যে ওই বাড়ি বানিয়ে ভাড়া আদায় করে আসছিলেন তা পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা।
এক প্রশ্নের জবাবে এস আই রশিদ বলেন, “মনির স্থানীয় যুবলীগ নেতা। তবে তার পদবী আমার জানা নেই।”
বুধবার দুপুরের পর হঠাৎ ওই বাড়ির নিচতলার ঘরগুলো খুঁটিসহ ঝিলের কাদাপানিতে দেবে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকেই আটজনের লাশ উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন আরও চারজনকে।
ওই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার লাশ হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।