মনিরুল ইসলাম (২০) নামে ওই কলেজছাত্রকে মঙ্গলবার নাটোর সদরের চন্দ্রকোলা থেকে এক সঙ্গীসহ আটক করা হয়।
বুধবার ওই দুই যুবককে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন জানানো হয়েছে। আটক অন্যজন হলেন ইদ্রিস আলী (৩০)।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ও চন্দ্রকোলা এসআই উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে চন্দ্রকোলা এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মনিরুল ইসলামকে জঙ্গি সন্দেহে আটক করা হয়।
ওমর ফারুক জানান, মনিরুল সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলীকে অভিভাবক সাজিয়ে সিংড়া উপজেলার হিজলি সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পাসের একটি সনদ দেখিয়ে এবছর চন্দ্রকোলা এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
এরপর স্কুলের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয় যুবকদের মধ্যে জঙ্গিবাদী প্রচার চালাচ্ছিলেন মনিরুল। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার দুপুরে মনিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা।
জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল স্বীকার করেন, তিনি রাজশাহী কলেজের স্নাতকের (সম্মান) ছাত্র।
এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় বলে ওমর ফারুক জানান।
মনিরুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার কথিত অভিভাবক ইদ্রিস আলীকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি মিজানুর।
তিনি বলেন, বুধবার বিকালে মনিরুলকে নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইসরাত জাহানের আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছে।
জঙ্গি সন্দেহে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, অনার্সের একজন ছাত্র অষ্টম শ্রেণির ভর্তি হওয়ার বিষয়টিই বেশ সন্দেহের।