বুধবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার শাখায় এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী মুরগির খামারি রুস্তম আলী মল্লিক (৫৮) নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
রুস্তম আলী মল্লিক বলেন, মুরগির খামারের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের চকবাজার শাখা তাকে ১০ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন দেয়।
এই ১০ লাখ টাকা মধ্যে সাত লাখ টাকা উত্তোলন করে টাকা নিয়ে স্বজনদের জন্য ব্যাংকের ভেতরেই অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এ সময় পাশে থাকা এক ব্যক্তি আমাকে বলে- মেঝেতে আপনার পাঁচশ টাকার একটি নোট পড়ে আছে। মাথা নিচু করে আমি মেঝেতে তাকাতেই দুই ছিনতাইকারী টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।”
ক্যাশ থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যাশ অফিসার শাহ আলম খান।
রুস্তম আলী মল্লিকের আত্মীয় রিয়াজ হোসেন জানান, ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই ব্যাংকের ভেতর ওঁৎ পেতে ছিল। ব্যাংকে কোনো নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। তাই ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে নিরাপদেই ব্যাংক থেকে পালিয়ে যায়।
এ অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। ফুটেজে দেখা যায়
ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই ব্যাংকের ভেতরে ছিল। টাকার ব্যাগ নিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে তারা নিরাপদে বেরিয়ে যায়। রুস্তম আলী তাদের পিছু নিলেও তাদের আটক করতে পারেননি।
ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী না থাকার বিষয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক সুলতান আহম্মেদ বলেন, কর্পোরেট শাখা থেকে তাদের কোনো নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হয়নি। ব্যাংকে মোট ১৩ জন স্টাফ রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ আহম্মেদ জানান, সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।