মঙ্গলবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের কাছে বিএনপিসমর্থিত মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলমের পক্ষে এই অভিযোগ করা হয়।
উন্নয়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব এস ইউ এম নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হয়।
এতে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল, আওয়ামী লীগসমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
একটি অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০১০ এর ৬ ধারার ১৪ (খ) উপধারা লঙ্ঘন করে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল গত সোমবার নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
“ওই সভায় তিনি বলেন- সিসিসির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় আমাকে রাস্তায় ময়লা পরিস্কার করতে নামতে হয়েছে। এবার আপনারা যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করুন।”
ওই সভায় নিয়ে চট্টগ্রামের একটি দৈনিকে ‘যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করুন, না হয় আমাকে আবার ঝাড়ু হাতে নামতে হবে’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের অভিযোগে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে পুলিশ কমিশনারের এ বক্তব্য নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
গত ২৯ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে দেখা করে আবদুল জলিল মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে আচরণবিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
এবার এর একদিন পরই কালুরঘাটের সভায় তিনি নিজেই নির্বাচনী বিধি ভেঙ্গে বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ এলো।
এছাড়া অন্য অভিযোগগুলোতে প্রার্থী আ জ ম নাছিরের পক্ষে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি দেয়া, নাছিরের বিরুদ্ধে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন এবং মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার দিন মোটর সাইকেল ও মোটর যান শোভাযাত্রার অভিযোগ করা হয়।