রংপুর সদরে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2015, 06:03 PM
Updated : 29 March 2015, 06:19 PM

নিহত লোকমান হোসেন (৫৫) ওই ইউনিয়নের দোলাপড়া গ্রামের বাসিন্দা, যাকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান পদে পরাজিত এক প্রার্থী।

রোববার রাত সাড়ে ৭টায় খান চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার সময় গুলিতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মোত্তালিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার সময় পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুল মতিনের কর্মী-সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কোতয়ালী থানার এসআই আল আমীন জানান, হামলাকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাথর ছোড়ার শুরু করলে ৪০-৫০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে হামলার সময় এক প্রার্থীর কর্মী নিহত হওয়ার খরব জেনেছি। নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন নিহত লোকমান নিজের কর্মী বলে দাবি করেন।

ভোটকেন্দ্রে নিজ সমর্থকদের হামলা হামলা কথা অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ফল ঘোষণায় বিলম্বের কারণে ভোটাররা হামলা চালিয়েছে। 

একযুগ পর গতকাল রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী, হরিদেবপুর ও চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন ঝুলে ছিল।

এদিকে রাত ১০টায় সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী, চন্দনপাট ও হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী সদ্যপুস্করণীতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন সোহেল রানা। তার ভোট পাঁচ হাজার ৫১২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষ্ণ চন্দ্র রায় পেয়েছেন তিন হাজার ৯১৫ ভোট।

হরিদেবপুরে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইকবাল হোসেন। তার

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৩ ভোট।

চন্দনপাটে ৮ হাজার ৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিপ্লব সরকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৮ ভোট।