পুলিশের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে তার দাফনের ব্যবস্থা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার রেজাউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে লেকের পাড়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন আবদুল লতিফ।
রোববার পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের মাথায় বিজিবি গেইট সংলগ্ন লেকে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। আবদুল লতিফের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
রেজাউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আবদুল লতিফের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার এক হাতে মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ঘাস ধরা ছিল। যা থেকে মনে হয় তিনি পড়ে যাওয়ার সময় ঘাস আকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।
আবদুল লতিফের পকেটে কিছু খুচরো টাকা-পয়সা ছিল। তবে তার মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।
“পরিবারের সদস্যদের ধারণা, হাঁটার সময় দুর্ঘটনাবশত তিনি লেকে পড়ে যান। এ কারণে তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের ব্যবস্থা করেছেন”, বলেন সহকারী কমিশনার।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে মুজিবুল হকদের বাড়ি। আট ভাইবোনের মধ্যে আবদুল লতিফ ছিলেন সপ্তম, আর মুজিবুল হক সবার ছোট।
সালমান জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও লেকের ধারে হাঁটতে যান তার বাবা। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সারা রাতে কোনো খোঁজ না পেয়ে সকালে সালমান ও তার এক বোনের স্বামী ধানমণ্ডি থানায় অভিযোগ করতে যান। এরইমধ্যে লেকে একটি লাশ ভাসার খবর থানায় এলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
লেক থেকে লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ধানমণ্ডির ৫ নম্বর রোডের পারভীন ভিলায়। ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় আবদুল লতিফের বাসা।
বাসায় লাশ পৌঁছানোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকও খবর পেয়ে ছুটে আসেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পরিবার ময়নাতদন্ত চাইছে না। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হবে।”
ধানমন্ডিতে ওই বাসার সামনে এক দফা জানাজা শেষে দুপুরেই আবদুল লতিফের মরদেহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।