শুক্রবার রোমানা আক্তার ও নার্গিস বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা দুজনই পাটগ্রাম সিনিয়র মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসি ও নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে পাটগ্রাম থানার এসআই ইয়াকুব আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে দুজন নিখোঁজ হয়। এলাকায় অনেক খোঁজাখূঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বোরে কুচলিবাড়ী ইউনিয়নে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় বাঘডাকিয়া ছিটমহলের আম গাছে তাদের ঝুলন্ত লাম দেখতে পায় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে বিজিবি ও পুলিশ ছুটে আসে। পরে দুই জনের লাশ নিয়ে আসা হয় পাটগ্রাম থানায়।
এসআই ইয়াকুব আরও জানান, শনিবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী জানান, বিজিবির সহায়তায় মেয়ে দুটির লাশ পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
এদিকে, এ দুই ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এলাকাবাসী এর বিচার দাবি করেছেন।
রোমানা ও নার্গিস মামাত ও ফুপাত বোন। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও তারা মেধাবী ছিল।
রোমানা আক্তারের বাবা শফিকুল ইসলাম ও নার্গিসের বাবা মিঠু মিয়া দিনমজুরের কাজ করেন।