“কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারিয়া খান বিপ্লবের সমর্থকরা আগে তাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার দাবি তুললে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।”
এসময় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা ছোটাছুটি করেন।
সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মতিয়ার রহমান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস টি এম রুহুল আলম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল আজমী, সদস্য খন্দকার জিল্লুর রহমান, রঞ্জু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মহন্ত (৫৫) ও যুবলীগ কর্মী ফুয়াদ আমিন (৩৫) আহত হন।
বিএনপি সমর্থিত সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সীকে নিয়ে বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস টি এম রুহুল আলমের বাড়ীতে দাওয়াতে অংশ নেন সাংসদ ইউনুস আলী সরকার।
সাহারিয়া বলেন, “সাইদুর রহমান মুন্সী মূলত জামায়াত নেতা এবং সম্প্রতি আমার ওপর হামলার ঘটনায় হুকুমের আসামি। এই মামলায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও হয়েছে। তারপরও একসঙ্গে রুহুল আলমের বাড়ীতে দাওয়াত খাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাংসদের ওপর বিক্ষুব্ধ। এ কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।”
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ইউনুস আলী সরকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আহত জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, “এমপি মহোদয় বুধবার ৪-৫টি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে অসুস্থ হওয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে যাননি। তার পক্ষে আমরা গিয়েছিলাম।”