সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত আবেদন পাঠানো হয়েছে।
যুগ্মসচিব মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতা ও নাশকতায় বিআরটিসি ২৮টি বাস ভাঙচুর ও ১০টি বাস আগুনে পুড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা।
এছাড়া ২০১৩ সালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিআরটিসির ১২১টি বাস ভাঙচুর ও ৪৬টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। এতে ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষতি হয়।
২০১৩ ও ২০১৫ সালের সহিংসতা ও নাশকতায় বিটিআরসির সর্বমোট ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সহিংসতা ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি যানবাহনের মালিকদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসি কোন আর্থিক সহায়তা পায়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ অবস্থায় সহিংসতা ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিসির বাস মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় শতাধিক গাড়ির মালিককে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মালিকদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন শেখ হাসিনা। প্রথম পর্যায়ে এদিন ১৫৬টি গাড়ির ১৪৬ জন মালিককে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট চার কোটি ২০ লাখ টাকা এদিন সহায়তা হিসেবে দেন তিনি।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত জোট। অবরোধের মধ্যেই কর্মদিবসগুলোতে থাকছে তাদের হরতাল।
গত প্রায় দুই মাস ধরে চলা হরতাল-অবরোধে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে; যাতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।