বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়। বাইরে পুলিশি অবস্থানের মধ্যে কার্যালয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের বাইরে গুটিকয়েক নেতা-কর্মী দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
কোকোর মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে এই চেহলাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন দুর্নীতির দুই মামলার শুনানি থাকলেও আদালতে যাননি খালেদা। ওই দুই মামলায় তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছে আদালত।
কার্যালয়ে থাকা বিএনপি নেতারা জানান, দোতলায় নিজের চেম্বারে বসে দোয়ায় অংশ নেন খালেদা জিয়া। তার পাশে ছিলেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক দোতলায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।
বিএনপির সাবেক সংসদ আখতারুজ্জামান ছাড়া দলের অন্য কোনো নেতাকে এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।
সাবেক সাংসদ রেজা হোসেন, ফেনীর অধিবাসী লন্ডনপ্রবাসী আবু হোসেন মো. আমজাদ হোসেন ভুঁইয়াসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে বিকালে কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলেও পুলিশ তাদের যেতে দেয়নি।
দোয়া অনুষ্ঠানের সময় কার্যালয়ের বাইর কয়েকজন নেতা-কর্মী হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন। পরে ভেতর থেকে তাদের জন্য খাবার প্যাকেট পাঠানো হয়। মোনাজাত শেষে পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী আবদুল মজিদসহ অন্যরা চেহলামে অংশ নেন।
তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রাও রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সময়ে আলোচিত ওই কার্যালয়ে চেহলামে যোগ দেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় বাড্ডায় আজিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার কয়েকজন হাফেজ ও শিক্ষার্থী কার্যালয়ে ঢুকে সারাদিন কুরআন তিলওয়াত করেন।
চেহলাম অনুষ্ঠানের জন্য পাতিলভর্তি খাবার বাইরে থেকে আনা হয়।