নগরীর হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান।
দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন,ওই বাসা থেকে ৩০ ধরনের বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বস্তাভর্তি ১৫০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য,আধা কেজি গান পাউডার, ৭৬টি হাতবোমা ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীতে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ১২ জন এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর পাহাড়ে ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের’ সন্ধান পাওয়ার ধারাবাহিকতায় এই বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে র্যাব প্রধান জানান।
তিনি বলেন, “বড় ধরনের নাশকতার জন্য এখানে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল।”
ওই বাসা থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গঠনতন্ত্র, ছাত্রী সংস্থার কাগজপত্র এবং কক্সবাজারের উসু একাডেমি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি সনদপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সেখান থেকে কক্সবাজারের পেকুয়া থানার ফয়জুল হক (৩০), তার বোন রহিমা আক্তার (২১) এবং বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের আব্দুল হাই (৩৬) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে জাহেদ (২৫) নামের এক যুবককে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে ব্লকের ১ নম্বর লেইনের ১/১৯ নম্বর বাড়িটি একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর। গত জানুয়ারিতে ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এরা উঠেছিলেন।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় দুর্গম পাহাড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণের’ সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব।
যেখানে নিয়মিত ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হত বলে র্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন।
বিভিন্ন উপজেলায় গ্রেপ্তার ১৩
চলমান অবরোধে নাশকতায় জড়িত অভিযোগে চট্টগ্রাম থেকে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে জামায়াতের পাঁচজন, ছাত্র শিবিরের চারজন এবং বিএনপির চারজন রয়েছে।