হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের অনন্তপুর এলাকার আব্দুল খালেক ও মোহনপুর এলাকার আফজাল হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি বিচারক তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
এই তিনজন হলেন- আব্দুল হামিদ, মো. মাহবুব আলম ও মো. আশরাফুল আলম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৮ জুন ভোরে শহরের অনন্তপুর এলাকার সাহেব আলীর স্ত্রী সৈয়দা খাতুনকে (২৫) ফুসলিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় আসামিরা।
২৪ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানার মান্দারছড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর তা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে পুলিশ।
পরে পত্রিকায় প্রকাশিত নিখোঁজ সংবাদের ছবি, লাশের সঙ্গে পাওয়া ভ্যানেটি ব্যাগ, কাপড় ও প্রেসক্রিপশন দেখে তাকে সনাক্ত করেন স্বজনরা।
ওই বছরের ৮ জুলাই সৈয়দা খাতুনের ভাই আব্দুল মোতালিব অনন্তপুর এলাকার আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন ও বড় বহুলা এলাকার আব্দুল হামিদকে আসামিকে করে একটি মামলা করেন।
প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে নতুন তিনজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। বাদ দেওয়া হয় মিনারা খাতুনের নাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শুনে বিচারক রোববার রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এম আকবর হোসেন ও আইনজীবী হাবিবুর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও এম এ নূর খান।