এ সময় প্রায় ৫০/৬০ জন ভূমিহীনের একটি দল ওই বাড়িতে লুটপাট ও নারীদের লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাজিরপুর থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার কুমারখালীর মরা বলেশ্বর নদের পাড়ে জেগে ওঠা চরে খাস জমির দখল নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জমির দখলে থাকা চিন্ময় মজুমদারের বাড়ির একটি কালী ও একটি গঙ্গা মন্দিরে আগুন দেয় প্রায় ৫০/৬০ জন ভূমিহীন। এছাড়া একটি গোয়াল ঘর ও একটি বসতঘরে হামলা ও লুটপাট, বাড়ির নারীদের লাঞ্ছিত করাসহ ওই বসতঘরটি উল্টিয়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে স্থানীয় ভূমিহীনদের একটি পক্ষ চরে দখল নিতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষে বিরোধ-সংঘর্ষ ও এ নিয়ে মামলা চলে আসছিল। আদালত দুই পক্ষকেই জমি দিয়ে বিষয়টির ফয়সালা করে দিলেও দুটি পক্ষই পুরো ১৫ একর খাস জমির দখলদারিত্ব বুঝে নিতে অনড়।
এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে চিম্ময় মজুমদারদের বসতঘর থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। বাড়ির পুরুষরা আত্মরক্ষার্থে বিভিন্ন দিকে আত্মগোপন করলে দুর্বৃত্তরা দুজন নারীকে টেনে হিঁচড়ে নির্যাতন করে ঘরের বাইরে বের করে দেয় এবং মালামাল লুটপাটের পর বসতঘরটি উল্টিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পিরোজপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান নাজিরপুর থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।