রাজশাহীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জামায়াত নেতা নিহত

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হয়েছেন।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2015, 07:39 AM
Updated : 28 Jan 2015, 04:57 PM

নিহত নুরুল ইসলাম শাহীন নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি। বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক শাহীন ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এক পুলিশ হত্যাসহ সহিংসতার ১১টি মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টার দিকে বিনোদপুর এলাকার নলখোলা আশরাফের মোড়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন বলে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানিয়েছেন। এসময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুই কনস্টেবলও আহত হন বলে জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদরদপ্তরে কমিশনার শামসুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,

পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ সরকার হত্যাসহ ১১টি মামলার আসামি শাহীনকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মালোপাড়া এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

“হত্যা ও সহিংসতায় জড়িত জামায়াতের অন্য নেতাকর্মীদের ধরতে গভীর রাতে শাহীনকে নিয়ে অভিযানে বের হয় গোয়েন্দা পুলিশ। রাত সোয়া ২টার দিকে বিনোদপুরের নলখোলা আশরাফের মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।

“তাদের মোকাবেলা করতে পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় নুরুল ইসলাম পুলিশের গাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হন।”

পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ কমিশনার জানান।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ১০টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় আহত গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মোজাহার হোসেন ও গোলাম মোস্তফা পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে কমিশনার জানিয়েছেন।

নিহতের ছোট ভাই ফজলুল হক তুহিন বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ রাত ৮টার দিকে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় শাহীনের পদ্মা অফসেট প্রিন্টিং প্রেস থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

“প্রেসের কর্মচারীরা বিষয়টি জানালে আমরা রাতেই গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যোগাযোগ করি। তারা জানিয়েছিল, বুধবার সকালে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হবে। কিন্তু সকালে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়- শাহীনের লাশ মর্গে রয়েছে।”