২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হলে এ রুটে বিআরটির বাস প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিক থেকে ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহণ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিআরটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “গাজীপুর বাস ডিপোর চুড়ান্ত নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন। দরপত্র আহ্বান করা হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।”
মন্ত্রী বলেন, বিআরটি বাসের সংখ্যা হবে ১৪০টি। ভ্রমণ সময় হবে ৪০ মিনিট ( গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট)। স্টেশন সংখ্যা হবে ২৫টি।
ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, দ্রুত ও আরামপ্রদ করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে।
প্রকল্পের অধীনে বিআরটি করিডোর ২০ কিলোমিটার, ফ্লাইওভার ৬টি, এলিভেটেড সড়ক ৪ কিলোমিটার, সংযোগ সড়ক ১৪১টি, মার্কেট উন্নয়ন ১০টি, স্টর্ম ড্রেন ১২ কিলোমিটার, ৮-লেন বিশিষ্ট টঙ্গি সেতু, গাজীপুর বাস ডিপো, জয়দেবপুর বাস টার্মিনাল ও এয়ারপোর্ট বাস টার্মিনাল এবং পিপিপি ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণ হবে।
আগামী জুলাই মাসে বিআরটি মূল করিডোর, টঙ্গী সেতু, ফ্লাইওভার ও অন্যান্য সকল নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
৩১ জানুয়ারি মেট্রোরেলের রোলিং স্টক (কোচ সংগ্রহ) দরপত্র আহ্বান করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এ প্রকল্পের মোট ৮টি দরপত্র আহ্বান করা হবে।
আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সড়কমন্ত্রী। সরকার আশা করছে, রাজধানীর যানজট নিরসন ও পরিবহন সমস্যার সমাধানে এ প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে।