৬৮% যৌন হয়রানির শিকার হয় ‘স্কুলের আশপাশে’

স্কুলশিক্ষার্থীদের ৬৮ শতাংশ তাদের বিদ্যালয়ের আশপাশে যৌন হয়রানির শিকার হয় বলে ব্র্যাকের এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2015, 05:26 PM
Updated : 26 Jan 2015, 05:26 PM

সোমবার গাজীপুর প্রেসক্লাবে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘যৌন হয়রানি নির্মূলে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

কর্মশালায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সংস্থার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন।

কর্মশালায় ব্র্যাকের মেজনিন কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ঝর্ণা রানী দাস, সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট সাঈদা নেওয়াজ পর্ণা, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি প্রণব কুমার, মেজনিন কর্মসূচির সেক্টর স্পেশালিস্ট সাঈদা সোগরা বক্তব্য রাখেন।

তারা ‘ইভটিজিং’ বা উত্ত্যক্ততার বিষয়ে বলেন, এর মাধ্যমে নারীর মৌলিক মানবাধিকার যেমন-চলাফেরার অধিকার, শিক্ষার অধিকার সর্বোপরি বেঁচে থাকার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।

এজন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত এবং শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ওপর জোর দেন বক্তারা। পরিবার, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সমাজের সব স্তরের মানুষকে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তারা।

ঝর্ণা রানী দাস জানান, ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট ও নারায়গঞ্জের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি এ সংক্রান্ত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে বাল্যবিয়ে এবং ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীদের নানা সমস্যার বিষয়ে জানতে ‘আমার কথা বক্স’ কর্মসূচি চালু করা হয়।

“এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকে যৌন হয়রানি বা বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা সরাসরি বলতে না পারলেও ওই বক্সে তাদের কথা লিখে জানাচ্ছে,” বলেন ঝর্ণা দাস।

তিনি বলেন, ঘটনাগুলো জেনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমাণ্যদের নিয়ে উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।