গাজীপুরে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা এই হরতাল করছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট।
ঈগল পরিবহনের বেনাপোল কার্যালয়ের প্রধান এম আর রহমান রাশু জানান, হরতালে নিরাপত্তার অভাবে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস সকালে ছেড়ে যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভারতফেরত যাত্রীরা বেনাপোলে এসে দূলপাল্লার বাস না পেয়ে বিভিন্ন বাস কাউন্টার ও আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে আটকা পড়া ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকার মিনতি রানী দাস ও একই এলাকার ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা সকালে দেশে ফিরেছেন। কিন্ত হরতালের কারণে বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
ভারতফেরত আরেকজন জানান, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় হরতাল জানার পরও সোমবার সকালে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
তবে বেনাপোলে কমিউটার ট্রেন চালু থাকায় কেউ কেউ ট্রেনে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক আখতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ইনকামিং যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের মতোই। তবে হরতাল থাকায় সকাল থেকে আউটগোয়িং পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।”