টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল লটপাট ছাড়াও তারা মারধর করে শতবর্ষী বৃদ্ধাসহ চারজনকে মারধর করেছে।
উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. জামান মৃধা জানান, রাত সোয়া ২টার দিকে ১০-১২ জন মুখোশপরা ডাকাত তার বসতঘরের জানালা ভাঙার চেষ্টা করে। শব্দ পেয়ে দরজা খুলে ঘটনা দেখতে বাইরে বের হলে দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতরা ঘরে ঢুকে পড়ে।
তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে তিনটি মোবাইল ফোন সেট, তার স্ত্রীর গলা ও কানের স্বার্ণালঙ্কার ও আলমারি থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা লুট করে।
এ সময় তাদের পাশের ঘরে থাকা মেয়ে ও জামাতা দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা তাদের মারধোর করে এবং মেয়ের কানের দুল ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান জামান মৃধা।
একই উপজেলার কেওয়ার আকন্দ বাড়ি এলাকার বাধন আকন্দ জানান, রাত সোয়া ৩টার দিকে তাদের বসতঘরের দরজা ভেঙে ১৫-১৬ জন সশস্ত্র ডাকাত ঢোকে।
“তারা আমাকে ও ঘরে থাকা আমার দাদি নুরুন্নেছা বেগমকে (১০৭) মারধর করে। পরে আলমারি ভেঙে ৫০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন সেট ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।”
শ্রীপুর থানার ওসি মোহসীন উল কাদির জানান, ডাকাতির খবর শুনেছেন, কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।