শুক্রবার বিকালে রওশনের গুলশানের বাসভবনে যান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিসওয়াল।
৫টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা রওশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রওশনের সঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “গত ৫ জানুয়ারি ইলেকশন না হলে কী হতো তা আমরা তাদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, তখন যদি নির্বাচন না হতো তাহলে দেশে অরাজকতা বাড়ত, হানাহানি বাড়ত, হত্যা–সহিংসতা বাড়ত। দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে ওই নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
এ বিষয়ে বিসওয়ালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা চুপচাপ শুনেছে। তারপর আমাদের প্রশ্ন করেছে-পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে?
“উত্তরে আমরা বলেছি যে, নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে।”
ওই নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসে সংঘাতের বদলে দলগুলোকে সংলাপে বসানোর চেষ্টা করেছিলেন বিসওয়াল।
সেই নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী মন্ত্রীর মনোভাব এখন কেমন তা জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো নেতিবাচক মনোভাব আমাদের চোখে পড়েনি। তারা সবকিছুই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।”
নির্বাচন ছাড়াও শ্রমিক অধিকার, তৈরি পোশাক খাত ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তাজুল।