শুক্রবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ জোড় ইজতেমা। মঙ্গলবার জোহর নামাজের পর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জোড় ইজতেমা শেষ হবে।
পাঁচদিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরপর চলবে ইসলামের দাওয়াতি কাজের বয়ান। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মুসল্লি এতে অংশ নিতে মাঠে জড়ো হয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমা ও জোড় ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তিন চিল্লায় অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি মুসুল্লি ও আলেম ওলামারা এই জোড় ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। এতে তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করবেন।
"এ বায়নে দাওয়াতি কাজ বা ইসলাম প্রচারের কাজ কিভাবে আরো সহজ করা যায় এবং নিজেদের কোন ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।"
জোড় ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের একটি অংশ দাওয়াতি কাজে দেশ-বিদেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়বেন এবং একটি অংশ ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি কাজের তদারকিতে থাকবেন বলে জানান তিনি।
তবে প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে ইজতেমা মাঠের স্থান দিন দিন কমতে থাকায় মূল ইজতেমার সময় মুসল্লিদের স্থান সংকুলান হওয়া নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আয়োজক মুরুব্বিরা।
মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন বলেন, টঙ্গীর ময়দানেই আগামী ৯-১১ এবং ১৬-১৮ জানুয়ারি দুই পর্বে চলবে বিশ্ব ইজতেমা। ক্রমবর্ধমান মুসল্লিদের কথা চিন্তা করে গত কয়েক বছর ধরে এক পর্বের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তারপরও মুসল্লিদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
এ অবস্থায় এক শ্রেণির দখলদার ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রবেশপথসহ উন্মুক্তস্থল দখল করে নিয়েছে। এছাড়া তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে ইজতেমা ময়দানের ব্যবহারের জমি রাজউক বিভিন্ন জনকে বরাদ্দ দেওয়ায় তারা সেখানে স্থাপনা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ময়দানের প্রবেশপথ দখল করে ফেলেছে।
অপরদিকে ময়দানের পূর্ব পাশের বাটা, হোন্ডা ও টেশিস কারখানার অব্যবহৃত জমিতে কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে।
এসব কারণে এবার নদীর পশ্চিমে ভাসমান সেতু নির্মাণ, মুসুল্লিদের গাড়ি পার্কিংসহ প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।
দেশ ও জাতীর স্বার্থে প্রশাসনের কাছে এসব জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।