বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর চট্টগ্রাম কলেজে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) আন্তঃব্যাচ সমন্বয় কমিটির সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষকতাকে মহান পেশা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকদের অনেক উদ্যোগী ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হতে হবে।
কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন না করার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে নাহিদ বলেন, “শিক্ষকদের গুণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সম্মান করবে না।”
“শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষককে ভালো বলবেন তিনিই হবেন সেরা শিক্ষক,” মন্তব্য মন্ত্রীর।
‘শিক্ষকের জন্য বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের বিনিয়োগ’ শিরোনামে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএমএস মুজিবুর রহমান।
প্রবন্ধ উপস্থাপক তার বক্তব্যে কলেজ শিক্ষকদের জন্য গবেষণার সুযোগ খুব কম ও ইউজিসিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বৃত্তির সহায়তা কয়েকজন শিক্ষক লাভ করে বলে উল্ল্যেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, দেশের জিডিপি’র দুই দশমিক দুই শতাংশ ও মোট বাজেটের ১১ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় হয়।
“চাকরির বয়সসীমা যতই হোক না কেন গবেষণাকারী শিক্ষকদের আমৃত্যু চাকরিতে রাখার জন্য ‘চিন্তা ভাবনা’ করছি।”
বর্তমান শিক্ষানীতি নিয়ে কোন ধরনের ‘বিরোধিতা হয়নি’ দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, “১৯৬২ সালের শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে যতগুলো শিক্ষানীতি হয়েছে প্রত্যেকটিতে বিরোধিতা হয়েছে।”
সবার সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষানীতি তৈরির কারণে কোন ধরনের বিরোধিতা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবদুল মুবিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।