ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্পিত সম্পত্তি বিভাগ মনে করছে, এই ‘শৈথিল্যের’ কারণে সরকারি স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।
তবে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম হীরা।
“বিপুল পরিমাণ ভিপি লিজ মানি বকেয়া থাকায় সরকারি স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারি স্বার্থে উক্ত বকেয়া টাকা আদায় করা জরুরি।”
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির বৈঠকে অর্পিত সম্পত্তি আইনের জটিলতা নিরসনে অর্পিত সম্পত্তি আইন পরিবর্তন ও পরিবর্ধনেরও সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া কমিটি ভূমি নিয়ে জালিয়াতি, দলিল জালিয়াতির প্রবণতা এবং ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলা বেড়ে যাওয়ায় জালিয়াতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি জনগণের হয়রানি রোধে এবং জমি সংক্রান্ত সব তথ্য পেতে অর্পিত জমিসহ সব ভূমির দলিল ডিজিটাইজড করার সুপারিশ করে।
রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মো. একাব্বর হোসেন, মো. মকবুল হোসেন, সামছুল আলম দুদু এবং এ কে এম মাঈদুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব নাগরিক এ দেশ থেকে ভারতে চলে যান, তাদের স্থাবর সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তখনকার পাকিস্তান সরকার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে এসব ‘অর্পিত সম্পত্তি’ হিসাবে পরিচিত হয়।
সরকারি হিসাবে দেশে অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ ৬ লাখ ৬০ হাজার একর। এসব সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার কারণে বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে এ সংক্রান্ত আইন কয়েক দফা সংশোধন করা হয়।
সরকারিভাবে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা করা হয়েছে দুটি ‘ক্যাটাগরিতে’। এর মধ্যে ‘ক’ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি সরকারের দখলে রয়েছে বা ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর ‘খ’ তালিকার সম্পত্তি সরকারের দখলে বা ইজারায় নেই। গত বছরের অক্টোবর মাসে ‘খ’ তালিকা বাদ দেওয়া হয়।