যুবদলকর্মী আজাদ হত্যা: ১০ আসামি খালাস

চট্টগ্রামে ১৮ বছর আগে যুবদলকর্মী আজাদ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ অভিযুক্ত ১০ জন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 10:09 AM
Updated : 25 Nov 2014, 11:54 AM

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক মাহমুদ এ রায় দেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আইয়ূব খান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।

হেলাল ছাড়া খালাসপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- যুবলীগ সদস্য সুনীল দে, মফিজুর রহমান দুলু, ছাত্রলীগ মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাবু, উৎপল কুমার চৌধুরী, ইফতেখার উদ্দিন, জাফর উল্লাহ, শাহনেওয়াজ, হুমায়ন কবির ও হাফিজুর রহমান।    

গত বছরের ২৪ জুন সিআরবিতে টেন্ডার নিয়ে সরকার দলীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ দুইজন নিহত হওয়ার পর সন্দেহভাজন হেলালকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়াও যুবলীগ সদস্য সুনীল দে দীর্ঘ দিন ধরেই পলাতক। সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর হাতে দেওয়া ১০ জঙ্গিসহ ৫১ জনের খোঁজ চেয়ে র‌্যাব যে তালিকা দিয়েছে তাতে সুনীলের নামও রয়েছে।

দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের আইনজীবী আইয়ূব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালত রাষ্ট্রপক্ষের সাত জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আজাদ হত্যা মামলার এ রায় দেয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল নগর যুবদলের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার পর নিহত হন সংগঠনটির কর্মী আজাদ আলী খান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সেলিম খান বাদি হয়ে ১৪ জুন একটি মামলা করেন।

আইনজীবী আইয়ূব জানান, তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগ গঠনের আগে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আকবর আলী মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে ২০০০ সালের ২৭ মার্চ আদালত মামলাটির অভিযোগ গঠন করে এবং ২০০৩ সালের ২৫ অগাস্ট মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও গত ২৬ অগাস্ট পুনরায় মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলার বাদী সেলিম খানও মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আইয়ূব।