একটি রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান সরকারের বেঞ্চ দ্রুত গেজেট প্রকাশ করে আইনটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
এই আইনের ৭ ধারা অনুসারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং ১৫ ধারা অনুসারে কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও এখনো তা না হওয়ায় আইনটি বাস্তবায়নে সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এ সময় আদালত আইন বাস্তবায়নের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ শেষ করতে তিন মাসের সময় বেঁধে দেয় বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত খাদ্য মন্ত্রণালয়কে আইন বাস্তবায়নের গেজেট করতে বলে। আমরা গেজেট করলে ১৯৫৯ সালের আইনটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু নতুন আইন বাস্তবায়নের কর্তৃপক্ষ থাকবে না। তখন নতুন আইনও কার্যত অকার্যকরই থাকবে। তাই আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়।”
আদালতে রিটকারীর আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্য আইনের থেকে ব্যতিক্রমভাবে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নের জন্য গেজেটের বিধান করা হয়। ২০১৩ সালে আইন হলেও এখনো সেই গেজেট হয়নি। আদালত এই গেজেট করার নির্দেশ দিয়েছে।
“এছাড়া আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”
লিগ্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের পক্ষে ফরিদ আহমেদ গত ২১ মে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
প্রথম আদেশে আদালত ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, মর্মে রুল দিয়েছিল। পরে বিধি প্রণয়নের নির্দেশও আসে। সেই বিধি প্রণয়ন করে সরকার গত ৯ নভেম্বর আদালতে জমা দেয়।
খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে গত বছর ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে ‘নিরাপদ খাদ্য বিল-২০১৩’ পাস হয়।