মেয়াদ শেষে গেছে পাঁচ বছর, প্লটের জন্য তোপের মুখে মনজুর

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) একটি আবাসন প্রকল্পের প্লট হস্তান্তরে বিলম্বের কারণে প্লট মালিকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সিটি মেয়র মনজুর আলমকে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2014, 03:08 PM
Updated : 18 Nov 2014, 03:08 PM

মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের ৫৩তম সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার আগ মুহূর্তে নগর ভবনের দ্বিতীয় তলায় লেকসিটি হাউজিং সোসাইটি মালিক সমিতির ব্যানারে প্রায় শতাধিক মানুষ প্লট হস্তান্তরের দাবিতে মেয়রকে ঘিরে ধরেন।

এ সময় মেয়র বিরক্তি প্রকাশ করে তাদের সরে যেতে বলেন।

পরে মেয়রের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ ‍হাসনী প্লট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে তিন মাস সময় চেয়ে নেন।

প্রকল্পটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষের পর প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও প্লটগুলো মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

প্লট মালিকদের আশ্বস্ত করে কাউন্সিলর হাসনী বলেন, “প্লট নিয়ে আপনাদের ঠকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি প্রকল্প বাতিল হয়ে গেলেও সবাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্লট বুঝিয়ে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার।”

দুই পক্ষের আলোচনা শেষে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আফাজউল্লাহ চৌধুরী তাদের দাবি সম্বলিত একটি কাগজ হাসনীর হাতে তুলে দেন।

পরে আফাজউল্লাহ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামীকাল প্যানেল মেয়র হাসনী আমাদের বৈঠকে ডেকেছেন। কালকের বৈঠকের পর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করব।

“মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে আমরা নিজ দায়িত্বে গণপূর্ত, পরিবেশ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করে প্রকল্পের অনুমোদন এনেছি। সিডিএর অনুমোদন এনেছি। কিন্তু মেয়র এখনো তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি।”

২০০৬ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের সব প্লট ২০০৯ সালের মধ্যে  মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা  ছিল। 

সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০০৬ সালে প্রতি প্লট আড়াই কাঠা করে ৫৪৭টি প্লটের লেকসিটি হাউজিং প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। 

এ প্রকল্পের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরী নগরীর বিশ্ব কলোনি সংলগ্ন এলাকায় ২০ একর জায়গা কেনার পাশাপাশি পাঁচ একর জায়গা বায়না করেন।

বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর আগের বায়না  করা পাঁচ একর জায়গা কিনে নেন। তবে প্রকল্প এলাকার উন্নয়ন শেষে তা এখনো প্লট মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

৫৪৭টি প্লটের বিপরীতে ৮৬ কোটি টাকা সিসিসিকে পরিশোধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন আফাজউল্লাহ চৌধুরী।