শেষ হলো কঠিন চীবর দান উৎসব

রাঙামাটির রাজবন বিহারে শুক্রবার দুদিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব শেষ হয়েছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2014, 03:26 PM
Updated : 31 Oct 2014, 03:26 PM

সকালে স্থানীয় শিল্পীদের ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কঠিন চীবর দান উৎসবের মূল পর্ব শুরু হয়।

এর আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, ফুরামোন আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রের প্রধান শ্রীমৎ বৃগু মহাস্থবির ও  নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির। 

পরে জুমে উৎপাদিত তুলা থেকে সূতা, কাপড় বুননসহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি কঠিন চীবর ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশে দান করেন চাকমা সার্কেল প্রধান দেবাশীষ রায়। এরপর দায়ক-দায়িকারা পঞ্চশীল প্রার্থনা ও কঠিন চীবর দান করেন।

অনুষ্ঠানে দেবাশীষ রায় বলেন, “মহা পরিনির্বাণ প্রাপ্ত শ্রদ্ধেয় বনভান্তের নির্দেশে থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাপড় তৈরি করে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে। তাই এ কঠিন চীবর দান উৎসবের মধ্য দিয়ে একদিকে ভগবান বুদ্ধ ও মহা পুণ্যবতী বিশাখাকে শ্রদ্ধা করছি।”

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত রীতিকে লালন এবং জুমে উৎপাদিত তুলা চাষ, বেইন বুনাসহ ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টিকে ধরা রাখা হচ্ছে, বলেন তিনি।

উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন, জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত অনুপ দেওয়ান, জেলা বিএনপি নেতা দীপেন দেওয়ান, বোমাং সার্কেল রাজকন্যা জিনিয়া প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার চরকায় সূতা কাটার মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্ধোধন করেন চাকমা সার্কেল প্রধান দেবাশীষ রায় ও রানি ইয়েন ইয়েন।