বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরী ও জেলার কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মহাসড়কগুলোতে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন যথারীতি চলাচল করছে।
এদিকে হরতালে নাশকতা রোধে বুধবার গভীর রাতে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থেকে ১০ শিবির কর্মী এবং হরতালের সকালে নগরীর খুলশী আমবাগান এলাকায় ঝটিকা মিছিলের চেষ্টার সময় এক শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
হরতালের সমর্থনে খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার চেষ্টার সময় পুলিশ ধাওয়া করে ওই শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানিয়েছেন।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক। দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে না গেলেও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক।
চট্টগ্রামের শিবির অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরচিত সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী উপজেলায়ও কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) একেএম এমরান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে বড় যানবাহন চলাচল কম থাকলেও ছোট ছোট যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
হরতালের সমর্থনে কোথাও কোন ধরনের মিছিল ও ভাংচুরের চেষ্টা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, হরতালে নাশকতা রোধে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন শিবিরের কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও দূরপাল্লার যান চলাচল না করলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের কয়েকজন জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড মডেল থানা) সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কোথাও কোন ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
মহাসড়কে যাত্রীবাহী যান চলাচল না করলেও পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক।