গোলাম আযমকে নিয়ে প্রদর্শনী ‘অভিশাপ দিচ্ছি’

শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের দলিল নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 05:23 PM
Updated : 24 Oct 2014, 08:39 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুরু হওয়া ‘অভিশাপ দিচ্ছি’ শিরোনামের এ প্রদর্শনী চলবে সোমবার পর্যন্ত।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে সংগঠনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে- একাত্তরে গোলাম আযম যেসব হত্যাকাণ্ড ও তৎপরতা চালিয়েছেন তা সাধারণ মানুষকে জানানো, যে তিনি একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী।”

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন শুক্রবার গোলাম আযমের মরদেহ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।  

এ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, “এটা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো বক্তব্য নেই। তবে কোনোভাবেই একজন যুদ্ধাপরাধীকে নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল যেন অতিমাত্রায় দলীয় এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। কেননা সে যুদ্ধাপরাধী, তার ক্ষেত্রে সরকারের মনোভাব ও কার্যক্রম যা হওয়ার তাই হবে।”

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৯২ বছর বয়সী গোলাম আযমের আরও ৮৯ বছর কারাভোগ বাকি ছিল।

এতে হতাশা প্রকাশ করে ইমরান বলেন, “এটা আমাদের কাছে হতাশাজনক।  একজন যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি না হয়েও স্বাভাবিক মৃত্যু হলো, আমরা যারা বিচারের দাবি করেছিলাম তাদের জন্য এটা বেদনাদায়ক।”

গত বছর ১৫ জুলাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গোলাম আযমের ৯০ বছর সাজার আদেশেও হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল গণজাগরণ মঞ্চ। তাদের দাবি ছিল শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি। 

গোলাম আযম ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে রাষ্ট্রপক্ষেও পাল্টা আপিল করা হয়। তার শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল ২ ডিসেম্বর। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হলো।   

ইমরান বলেন, “যথাযথ সময় ছিল তার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচ বছর সময় পেয়েছিল। এই পাঁচ বছর কি যথেষ্ট সময় নয়? অথচ একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়নি!”

যুদ্ধাপরাধের বিচারে যাতে কালক্ষেপণ না হয় সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালকে সতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।