সৌদিতে দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি নিহত

মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি মারা যাওয়ার পরদিন ফের সৌদি আরবের রাফিয়া নামক স্থানে দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

নিহত মাসুদ রানার (৪০) বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে। তার মৃত্যুর সংবাদে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে মালবাহী ট্রাক চালিয়ে রিয়াদ থেকে দাম্মাম যাওয়ার সময় রাফিয়া এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়ার পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে মাসুদের মৃত্যু হয় বলে তার বাবা লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাসুদ দুর্ঘটনায় আহত হলে সৌদি আরবে অবস্থানরত তার অপর দুই ছেলে রিয়াদ হোসেন ও জুয়েল রানা স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১২ টার দিকে মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন জানিয়ে লুৎফর বলেন,  “ছয়ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাসুদই ছিল সবার বড়।”

এর আগে বুধবার সকালেই সৌদি আরবের মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি  মারা যান, যাদের সবাই কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। ওই দুর্ঘটনার আরও দুই বাংলাদেশি গুরুতর আহত হন।

মাসুদের ছোট ভাই রিয়াদ হোসেন সৌদি আরব থেকে মোবাইল ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তিন ভাই সৌদি আরবের দাম্মাম এলাকাতেই থাকি। বড় ভাই মাসুদ রানা পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। আমরা দুজন ব্যবসা করি।

“বড় ভাই দোকানের জন্য মালামাল নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে দাম্মাম আসার পথে এই দুর্ঘটনায় পড়ে মারা যান।”

মাসুদ গত ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন বলে জানান তিনি।

মাসুদের লুৎফা আক্তার (৬) ও আরশি (২) নামে দুটি মেয়ে রয়েছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন মাসুদ রানার লাশ দেশে আনার ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।

এ ব্যাপারে দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, “মাসুদ রানা সৌদি আরবে নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে কাগজপত্র প্রস্তুত করে লাশ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”