আয়োজক কমিটির সদস্য কাঁঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হবে মিনি বিশ্ব ইজতেমা। এতে উত্তরবঙ্গের ১০টি জেলার মুসল্লি ও ৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন শরু হয়। মুসুল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার ফলে টঙ্গীতে স্থান সংকুলানে ঝামেলায় পড়তে হয় আয়োজকদের।
চলতি বছর বিশ্ব ইজতেমা কমিটি (টঙ্গীর) এর বাইরে দেশের ৫টি জেলায় মিনি ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে তাবলিগ জামাত কুড়িগ্রাম জেলা কমিটি তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইজতেমা মাঠ ও শহরের কয়েকটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জয়নাল আবেদিন জিল্লুর জানান, মুসল্লিদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে কয়েকটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার রুদ্র জানান, ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোন একটি গ্রিড অকেজো হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বুধবার যোহরের নামাজের পর থেকে মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠে জমায়েত শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর হতে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের মুসল্লিরা কুড়িগ্রাম মার্কাস মসজিদে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।