নতুন প্রজন্মের সমালোচনা দীনতা: শিক্ষামন্ত্রী

নতুন প্রজন্মের শিক্ষা ও যোগ্যতার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা দীনতার প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 11:33 AM
Updated : 23 Oct 2014, 11:33 AM

বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তরুণ প্রজন্মের তুলনায় বাংলাদেশের নবীন শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি মেধার প্রমাণ রাখছে বলেও মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নায়েম একাডেমিতে (জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি) দেশের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ফাইল ছবি

তিনি বলেন, “বাস্তবতার কারণে বর্তমান প্রজন্ম যে কোনো প্রজন্মের চেয়ে বেশি মেধাবী ও যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। অনেকে না বুঝে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের হাতাশ করছে। এটা মানুষের দীনতার প্রকাশ।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নুতন শিক্ষানীতিকে আধুনিক ও বাস্তবমুখী করে তৈরি করা হয়েছে। এর বাস্তবায়নে শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে।”

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপি-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপি-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ন্যূনতম পাস নম্বর তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

চলতি বছর পারফরমেন্স বেইজড ম্যানেজমেন্টের (পিবিএম) ভিত্তিতে দেশের ১৮ হাজার ৫৯৮টি স্কুলের মধ্যে ১৮ হাজার ৪২৫টি স্কুলের স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এ ধরনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করতে শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৪০ হাজার ৫০২ জনকে আগেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নিজেদের কাজ নিয়ে নিজেদের করা এই মূল্যায়ন পুরোপুরি নিরপেক্ষ করা কঠিন, এখনই তা হয়ে যাবে বলে মনে করি না।”

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে স্কুলগুলোর মান মূল্যায়ন করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে মাত্র এক হাজার ২০টি স্কুল ‘এ’ ক্যাটাগরি বা শীর্ষ পর্যায়ে স্থান পেয়েছে। এছাড়া নয় হাজার ৯৮টি স্কুল ভালো পর্যায়ে (বি ক্যাটাগরি) ও সাত হাজার ৩১৯টি স্কুল মধ্যম পর্যায়ে (সি ক্যাটাগরি) স্থান পেয়েছে এতে।

এছাড়া ৯৫৭টি স্কুলের কার্যক্রম ভালো নয় (ডি ক্যাটাগরি) এবং ৩১টি স্কুলের অবস্থান খুবই খারাপ (ই ক্যাটাগরি) বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা দূর করতে এ মূল্যায়ন সামনে রেখে কাজ করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।