চসিকের দিনব্যাপী অভিযানে উচ্ছেদ একটি বিলবোর্ড

ঘটা করে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে নামলেও মাত্র একটি বোর্ড সরিয়েই প্রথম দিনের অভিযান শেষ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 03:33 PM
Updated : 22 Oct 2014, 03:47 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর নাসিমন ভবন এলাকায় একটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আমদুল হক।

এছাড়া বেলা ১২টার দিকে টাইগার পাস মোড়ে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করতে গিয়েও ‍তা না করেই ফিরে যায় করপোরেশনের দল।

ব্যবসায়ীদের বাধার কারণে অভিযান চালানো হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা।

করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ছুটিতে আছেন। এছাড়া পুলিশ কমিশনার মহোদয় অভিযানের জন্য পুলিশ ফোর্স দিতে পারেননি। তাই অভিযান না করেই ফিরে এসেছি।”

এদিকে সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে অবৈধ বিলবোর্ড সনাক্ত করতে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও মালিকদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিনিধির নাম দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে আহমদুল হক বলেন, “অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এখনো কমিটিতে নাম দেননি। তবে তারা নিজেদের মালিকানাধীন বিলবোর্ডে স্টিকার লাগাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।”

গত ১৪ অক্টোবর এক বৈঠকে বিলবোর্ড মালিকদের সহায়তায় বৈধ বিলবোর্ড চিহ্নিত করতে স্টিকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় করপোরেশন।

ওই বৈঠকে দুই পক্ষের পাঁচ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়, যে কমিটি নগরীতে অবৈধ বিলবোর্ড চিহ্নিত করবে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবৈধ বিলবোর্ডের ছড়াছড়িতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সিটি করপোরেশনের বিলবোর্ড শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবৈধ বিলবোর্ড সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে মন্ত্রীর মন্তব্যের পর বিলবোর্ড পরিদর্শক আবুল মনসুরকে সম্প্রতি বদলি করা হয়।

চসিকের হিসাবে বন্দর নগরীতে বৈধ বিলবোর্ড-ইউনিপোল ও ওভারহেডের সংখ্যা মোট ছয় হাজার ১৭০টি। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ ‍সাইনবোর্ডের সংখ্যা ১১ হাজার ৬১৭টি।

এর বাইরে চসিকের হিসেবে অবৈধ বিলবোর্ডের সংখ্যা মাত্র ৩১২টি।