এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন।
এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবীর সাজা বাতিল ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবলু জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১০৭ ধারার একটি মামলা পরিচানার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সেলিনা বানুর সঙ্গে আইনজীবী সৈয়দ ফিরোজুর রহমানের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর বিচারক মামলায় কোনো আদেশ না দিয়ে উল্টো সৈয়দ ফিরোজের উপর উত্তেজিত হন।
এ অবস্থায় অ্যাডভোকেট ফিরোজ আদালত ত্যাগ করেন এবং পরে তার অনুপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা বানু ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও সরকারি কাজে বাধাদানের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এনে অ্যাডভোকেট ফিরোজকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমুকি দেন এ আইনজীবী নেতা।
এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা বানু বলেন, ডিসি অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার একটি মামলার শুনানি চলছিল।
এ মামলায় বিবাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ ফিরোজুর রহমান এটি নিস্পত্তির আবেদন জানান, যেটির বিপরীতে সেলিনা বানু বিষয়টি শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেন।
সেলিনা বানু বলেন, কিন্তু অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফিরোজুর রহমান তার (ম্যাজিস্ট্রেট) আদেশ না মেনে পুনরায় নিস্পত্তির আবেদন জানান।
এ সময় সেলিনা বানু পরবর্তী মাসে শুনানির দিন ধার্য করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৈয়দ ফিরোজুর রহমান তাকে (ম্যাজিস্ট্রেট) তাকে ‘অশ্লীল ভাষায় গালাগাল’ করতে থাকেন।
এ সময় সেলিনা বানু এজলাস ছেড়ে তার কক্ষে যাওয়ার সময় এজলাসের বাইরে এলে সৈয়দ ফিরোজুর রহমান তার গতিরোধ করেন।
ওই কারণে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বলে ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা দাবি করেন।
এ ঘটনা প্রতিবাদে ক্ষুব্দ আইনজীবিরা দুপুর ১২ টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছির বের করে ও জেলা প্রশাসকের কার্যলয় ঘেরাও করে। এসময় আনইজীবিরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অ্যাড: ফিরোজের সাজা বাতিল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা বানুকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেয় ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন, আলাপ আলোচনার ম্যাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।