কমিশনারের জাল স্বাক্ষরে জমি আত্মসাতের চেষ্টা

গাজীপুরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) জাল স্বাক্ষরে জমির নাম জারির চেষ্টা করেছে একটি জালিয়াত চক্র।

গাজীপুর প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2014, 04:12 PM
Updated : 16 Oct 2014, 04:12 PM
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ধরনের জাল স্বাক্ষর করা ৪১টি নথি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানা যায়, পূবাইলের মার্কুয়া মৌজায় জয়নাল আবেদিনের ছেলে মো. শাহজাহান মিয়ার  ৪৯ শতাংশ জমি রয়েছে।

ওই ৪৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মো. মাকছুদ নামের এক ব্যবসায়ী। সম্প্রতি পূবাইল ভূমি অফিসের মাধ্যমে ওই জমির নামাজারি ও খারিজ করতে দেওয়া হয়, যার নথি নম্বর ৫৫৬।

তিনি ৯ অক্টোবর গাজীপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিনিতা রানীর কার্যালয়ে যান জমির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে।

ওই জমির কাগজ পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় জমির পর্চার মধ্যে তার স্বাক্ষর জাল করে খারিজের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

পরে ওই কার্যালয়ের গত দেড়মাসের আরো অনেক নথি পরীক্ষা করে ৪১টি নথিতে জাল স্বাক্ষর ধরা পড়ে।

এরমধ্যে রয়েছে ভাওয়াল মির্জাপুর ভূমি অফিসের ৭টি, বাসন অফিসের ৫টি, পৌর ভূমি অফিসের ১৫টি, পূবাইলের ৫টি ও শালনা ভূমি অফিসের ৯টি।

এসব নথির মধ্যে একটি আবেদনের ডিসিআরও কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজীপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিনিতা রানী বলেন, এ ঘটনায় তার অফিসসহ সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কেউ জড়িত কিনা সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেবাস্টিন রেমা বলেন, এঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাল স্বাক্ষর করে যেসব নথি নামজারি ও জমাভাগের জন্য জমা দেয়া হয়েছে সেগুলি কার্যকর হবে না।

এছাড়া কোনোটা খারিজ হয়ে থাকলেও সেটি বাতিল করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, এসব নথি তদন্ত করে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া রহমানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।