সড়কে ট্রাক রেখে অবরোধ

চাষাঢ়ায় শ্রমিকরা ট্রাক এলোপাতাড়ি ট্রাক রেখে সড়ক অবরোধ করায় বুধবার দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হয় নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2014, 11:56 AM
Updated : 1 Oct 2014, 11:56 AM

মঙ্গলবার রাতে শহরের নিতাইগঞ্জে গাড়ি রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ট্রাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রাক শ্রমিকরা চাষাঢ়ায় অবরোধ করে।

পরে পুলিশের সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আড়াইটার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে সড়কে ট্রাক রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ৬ ট্রাক শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। দুপুরে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এরপর রাত ১০টার দিকে ট্রাক শ্রমিকরা রাস্তার ওপর মালামাল নামানোর সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশ ও পুলিশের রেকার লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে।

এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের চাষাঢ়া, দুই নম্বর রেলগেইট ও নিতাইগঞ্জে এই তিন পয়েন্টে সড়কে প্রায় অর্ধ শতাধিক ট্রাক সড়কে এলোপাতাড়ি ফেলে রেখে চালকরা চাবি নিয়ে যায়।

এতে চাষাঢ়া মোড়ের দিকে আসা ও মোড় থেকে যাওয়ার ১০টি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের আগে প্রচুর মানুষ কেনাকাটার জন্য শহরে বের হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় নগরীতে যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। এ অবস্থায় নগরীতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্যজোটের সভাপতি মুক্তার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের অনুরোধে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। আগামীকাল উনার উপস্থিতিতে আলোচনার পর এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।”

ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদুর রহমান মানিক বলেন, গত ৪ মাস ধরে নিতাইগঞ্জে সড়কে ট্রাক রাখলে পুলিশ তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে। শ্রমিকদের মারধর ও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ও ট্রাকও নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রাক ছাড়িয়ে আনতে গেলে পুলিশকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে ঘুষও দিতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, ৫ মাস আগে জেলা প্রশাসক, শ্রমিক, মালিক, পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন এবং নিতাইগঞ্জের সকল ধরনের ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে সড়কে কোনো ট্রাক রাখা যাবে না। সেই অনুযায়ী পুলিশ কাজ করেছে।