‘ভারত-বাংলাদেশ নেতিবাচক সম্পর্কের শঙ্কা কেটে যাবে’

বিজেপি সরকার গঠনের পর বিভিন্ন মহল থেকে ভারতের সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কের যে শঙ্কা করা হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সফরের পর তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 05:44 PM
Updated : 21 Sept 2014, 05:44 PM

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘প্রথম বাংলাদেশ শান্তি উৎসব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ রেনেসাঁ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে চারদিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।

শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনাই রক্ষা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেন।

‘বাংলাদেশ ও ভারতের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ এক সুতোয় গাঁথা’ অভিমত ব্যক্ত করেন মোদি।

বিজেপি ভারতে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে দূরত্বের যে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল- ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওই বক্তব্যেই তা নাকচ করে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

একইদিন মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা ও দিল্লি যৌথ সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়, সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগতভাবে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তা খুবই আশাব্যঞ্জক।

“এর ফলে দুটি দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ হবে। পাশাপাশি এটা সম্পুর্ণভাবে স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সব নেতিবাচক শংকা কেটে যাবে।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি ছিল খুবই উচ্চ পর্যায়ের। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৭টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর গুরুত্ব অনেক।”

এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার আলম বলেন, “ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবচেযে বড় দায়িত্ব ছিল মুসলিম বিশ্বের। কিন্তু ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে।

“অথচ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ ছিল না। পাল্টা ঝুঁকি ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।”

বাংলাদেশের মতো অন্য দেশের পররাষ্ট্রনীতি থাকলে বিশ্ব অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।