রোববার রাতে উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজাহার গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত নুরজাহান বেগম (৪০) ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে এবং একই গ্রামের মঞ্জু মিয়ার (৪৫) স্ত্রী।
এ ঘটনার পর থেকে মঞ্জু মিয়া পলাতক। মঞ্জু মিয়া নিহত নুরজাহানের দ্বিতীয় স্বামী।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর জুন মাসে স্বামী পরিত্যক্তা নুরজাহানকে প্রতিবেশী মঞ্জু মিয়া ধর্ষণ করে। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয় নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মঞ্জু মিয়ার সঙ্গে নুরজাহানের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সন্তানের স্বীকৃতি এবং নুরজাহানকে করে ঘরে তুলে নিতে তালবাহনা শুরু করে মঞ্জু।
এরপর চলতি বছর ১৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে নুরজাহান মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জুন মাসে জামিন নিতে গিয়ে মঞ্জু গ্রেপ্তার হয়। সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে কারাগার থেকে বাড়ি আসে।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি ফারুক হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।