পূজায় সাংসদদের এলাকায় পাওয়ার প্রত্যাশা

শারদীয় দুর্গাপূজায় সাংসদরা নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2014, 06:33 PM
Updated : 16 Sept 2014, 06:33 PM

ঈদের মতো পূজার সময়ও সাংসদরা এলাকায় গেলে ছোটখাটো অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হবে বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সারা দেশে ২৮ হাজারের বেশি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। আর ঢাকায় আছে ২১৬টি।

এর মধ্যে অনেক পূজামণ্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের ‍নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা হয়। আমারা আমাদের দাবি ও প্রত্যাশা পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেছি।”

প্রতীমা বানানো থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তা এবং ঈদের গরুর হাটের কারণে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় তা বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পূজার সময় এলাকায় সাংসদদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “ঈদের মতো পূজায় স্থানীয় সাংসদরা এলাকায় গেলে ছোটখাটো অনেক ঝামেলাই হবে না।

“তাই হিন্দু ধর্মের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সাংসদদের নিজের এলাকায় যাওয়া প্রত্যাশা করছেন। এই প্র্রত্যাশার কথা প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হবে।”

মতবিনিময় সভায় পুলিশ প্রধান বলেন, “প্রতীমা তৈরি, উদযাপন ও বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।

“এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”

ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতি কাজল দেবনাথ, সহসভাপতি মিলন কান্তি এবং ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জিতেন্দ্রলাল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, এসবি প্রধান, র‌্যাব প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে বলে কাজল দেবনাথ জানান।