মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধাপরাধীর করা আপিলের রায় দেবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাইদীর ফাঁসির রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল তা রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে আপিল বিভাগ। তার পাঁচ মাস পর রায়ের দিন জানানো হয় মঙ্গলবার।
ট্রাইব্যুনালে সাইদীর ফাঁসির রায়ের কয়েকদিন পর গত বছরের ৩ মার্চ চাঁদে সাইদীকে দেখার গুজবে বগুড়ায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অবরোধসহ ব্যাপক তাণ্ডবের কথা ভেবে আতংকে রয়েছে স্থানীয়রা।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, কোনোভাবেই কোনো ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সতর্ক রয়েছে।
কোনো ধরনের নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
শহরের সূত্রাপুর এলাকার ব্যবসায়ী মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজবে তাণ্ডব হয়েছিল। আবারও যদি সে ধরনের কিছু হয়, এনিয়ে আতংকে রয়েছি।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল থেকে শহরের ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথার জিরো পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখান থেকে ফুটপাতের দোকানিদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া ইয়াকুবিয়ার মোড়, বড়গোলা, পিটিআই মোড়, মফিজ পাগলার মোড়, তিন মাথা, চার মাথা প্রভৃতি এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়।
সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার কয়েকদিন পর বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলা পরিষদ, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, বগুড়া সদর থানা, শাহজানপুর থানা, এটিএন অফিস, এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস, করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস, সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের বাসভবন, আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবির সমর্থকরা।